রত্ন পাথর আসল না নকল এবং মূল্য বেশী না কম এই দুটি বিষয় সব সময় প্রতিটা ক্রেতাকে তাড়া করে বেড়ায়। প্রথমত বলতে হয় শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীতে প্রতিটা রাশি রত্ন পাথরের নকল পাথর পাওয়া যায়। যেহেতু আসল রাশি রত্ন পাথর মূল্যবান এবং কম দামে কেনা আসল পাথর দেখতে ততটা ভালো না হবার কারনে অনেক অসৎ ব্যবসায়ী এবং জ্যোতিষ নকল পাথর বিক্রি করে থাকেন আর ক্রেতারা সুন্দর রত্ন পাথর খুঁজতে যেয়ে কম দামে ভালো পাথর কেনার চেষ্টা করেন। ফলে অসৎ ব্যবসায়ীরা আর জ্যোতিষরা সুযোগ পেয়ে যান নকল রত্ন পাথর বিক্রি করার। এভাবেই এ ব্যবসায়ের দুর্নাম ছড়িয়ে পরেছে দিনের পর দিন। পাথর কেনার সময় সব সময় খেয়াল রাখা উচিৎ যে কম দামে কাচের মত স্বচ্ছ ভালো কোয়ালিটির রত্ন পাথর কেনা সম্ভব নয়। তাই বেশী ভালো পাবার আশায় যেন আমরা নকল কিনে না ফেলি।
এখন বলছি রত্ন পাথরের মূল্যর কথা। এক কথায় বলতে পাথরের কোন মূল্য নেই। তার উপর পাথরের কোন নির্দিষ্ট মূল্য তো নেই। খনি থেকে পাথর প্রাপ্তি, পাথরের কোয়ালিটি এবং পাথরের চাহিদার উপর নির্ভর করে পাথরের মূল্য নির্ধারিত হয়। তার উপর পাথরের নির্দিষ্ট কোন কোয়ালিটি না থাকাতে পাথরের ব্যবসায় কোন নির্দিষ্ট মূল্য থাকেনা।
একজন ব্যবসায়ী তার অভিজ্ঞতা, তার চাহিদা এবং পাথরটি তিনি কেমন মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন সেই হিসাব করে সরবরাহকারীর কাছ থেকে দর কষাকষি করে পাথর ক্রয় করে থাকেন। তাই একই পাথর বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিভিন্ন মূল্যে কিনে থাকেন। তার উপর কোন দিনই একটি পাথরের সাথে অন্য পাথর, বা একজনের পাথরের সাথে অন্য জনের পাথর মেলে না কখনই। কারন পাথর যদি খনির আসল পাথর হয় তাহলে একটির সাথে অন্যটি মিলবে না। নকল হলে সবই এক রকমের হবে। তাই পাথর কেনায় যেমন মূল্যর পার্থক্য থাকে আবার পাথর বিক্রিতেও মূল্যর পার্থক্য থাকে। কিছু কিছু সময় একই পাথর বিভিন্ন হাত ঘুরে সবার শেষে ব্যবহারকারীর কাছে বিক্রি হবার সময় সবার মুনাফার কারনে মূল্য অনেক বেড়ে যায়। যারা শুধুই আসল পাথর বিক্রি করে এবং নকল পাথর বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করা থেকে বিরত থাকে তাদের পাথরের মূল্য ক্ষেত্র বিশেষে কিছুটা বেশী মনে হতে পারে। কারন যারা ১০ পিছ আসল পাথরের সাথে ৫ পিছ নকল মিলিয়ে বিক্রি করে দিতে পারে তারা প্রকৃত মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে পাথর বিক্রি করতে পারে। কারন তারা নকলকেও তো আসলে দামে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই সস্তায় পাথর পেলেই খুশি হবার কিছু নেই। বরং পাথর কেনার সময় সব সময় খেয়াল রাখা উচিৎ যে, মূল্য একটু বেশী হলেও পাথরটি যেন আসল হয়। নকল হলে তো অর্ধেক মূল্যে কেনা পাথরটির সম্পূর্ণটাই তো নকল।