আপনি যখন রত্ন পাথর ক্রয় করতে যান তখন সব থেকে বড় যে প্রশ্নটি আপনার মনে উদিত হয় তা হল, রাশিরত্ন পাথরটি আসল তো? এমন প্রশ্ন মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যেখানে সারা পৃথিবীতেই দামী দামী পাথরের নকল বিক্রি হয়ে যায় আসল হিসেবে সেখানে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও যে নকল বিক্রি হয়না সেটা হতে পারেনা। তবে এমন নকল রাশিরত্ন পাথর বিক্রির বিপরীতে রয়েছে আসল নকল পরীক্ষার উপায়। যার ফলে মানুষ কষ্টের টাকা খরচ করে নকল পাথর কেনা থেকে বেঁচে যেতে পারছে। এখন প্রশ্ন হল আমাদের এ দেশে কি আসল নকল পাথর পরীক্ষার কোন উপায় রয়েছে কিনা? যদি এক কথায় বলতে হয় তাহলে উত্তর হচ্ছে “না”।
প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীর যে দেশে গুলোতে এমন রাশিরত্ন পাথরের খনি রয়েছে অথবা রাশিরত্ন পাথরের আন্তর্জাতিক মার্কেট রয়েছে সে সব দেশেই একমাত্র আসল-নকল পরীক্ষার ল্যাবরেটরি রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে খুব ভালো কোয়ালিটির রত্নপাথর আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বিক্রি হয়না, বা বাংলাদেশে রত্নপাথরের আন্তর্জাতিক কোন বাজার নেই সে কারনে সরকারী বা বেসরকারি উদ্যোগে এ দেশে কোন ল্যাবরেটরি গড়ে ওঠেনি।
এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে আবার প্রশ্ন চলে এসেছে যে, রত্ন পাথর কেনার সময় যে মেশিন গুলো দিয়ে আপনাদের পাথর পরীক্ষা করে আসল বলা হয় সেগুলো তাহলে কি? সারা বাংলাদেশে একটি মাত্র মেশিন ব্যবহার করা হয়, যাকে আমরা হার্ডনেস পরীক্ষার মেশিন বলে থাকি। যা দিয়ে একটি পাথর কতটুকু শক্ত সেটা পরীক্ষা করা যায়। শুধু যে আসল পাথর তা কিন্তু নয়, নকল পাথরের হার্ডনেস ও এটা দিয়ে মাপা যায়। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে বর্তমানে নকল পাথরের হার্ডনেস আসল পাথরের মত। তাই এ মেশিন দিয়ে কোন ভাবেই আসল বা নকল বের করা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক রত্ন পাথরের ব্যবসায়ী ও জ্যোতিষ আছেন যারা এটা দিয়ে পাথর পরীক্ষার নাম করে ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়ে থাকে।
এই একটি মেশিন ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন প্রকারের মেশিন বা ল্যাব নেই যেখান থেকে পাথর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যায়। অনেকেই বলে থাকনে তাদের কাছে পরীক্ষা করার ল্যাব রয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন এক পরিস্থিতিতে সকলের জন্য পরামর্শ থাকছে যে, আপনি এমন কারো কাছ থেকে রত্ন পাথর ক্রয় করবেন যারা লিখিত গ্যারান্টি সহ পাথর বিক্রি করে। এবং অবশ্যই সেই পাথরের ব্যবসায়ী যেন পরিচিত ও বিশ্বস্ত হন। তাহলেই পাথর পরীক্ষা ছাড়াই আপনি আসল পাথর পেয়ে যাবেন।