আপনি রত্নপাথর ব্যবহার করতে চাইছেন। হয়তো কোন জ্যোতিষের কাছে গিয়েছেন তিনি আপনাকে ৮ রত্তি ওজনের একটি রত্ন পাথর ব্যবহার করতে বলেছেন। এখন রত্নপাথর ক্রয় করতে গিয়ে দেখছেন ওজন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। বাজারে দুই ধরনের রত্তির ওজন প্রচলিত রয়েছে, তার উপর আবার আরেকটি ওজনের পদ্ধতি রয়েছে তা হল ক্যারেট। এত কিছুর মাঝে রত্নপাথর কেনা আপনার জন্য হয়তো সমস্যা জনক হয়ে গেছে। তাই আসুন রত্ন পাথরের প্রচলিত ওজনের হিসাব গুলো যেনে নেই।
সাধারণত রাশিরত্ন পাথরের ওজন মাপার সনাতন এবং আধুনিক নামক দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সনাতন মাপের মধ্যে আবার দুটি ধরন, আর এ ধরন গুলো মাপা হয় রত্তি হিসেবে। একটি স্বর্ণের মাপ এবং এখানে ৯৬ রত্তিতে ১ ভরি ওজন আর অন্যটি পাথরের মাপ এবং এখানে ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি ওজন। আধুনিক এবং সারা পৃথিবীতে গ্রহন যোগ্য মাপ হচ্ছে ক্যারেট। এখানে ৫৮ ক্যারেটে ১ ভরি ওজন। ওজনের এমন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কারনে প্রায়শই রত্ন পাথর ক্রয় করতে গিয়ে সমস্যা পরতে হয়। কারন যে আপনাকে পরামর্শ দিয়েছেন ৮ রত্তি ওজনের রত্নপাথর ব্যবহার করার জন্য তিনি আপনাকে উল্লেখ করে দেন নাই যে, আপনি ৬৪ রত্তিতে ১ ভরি নাকি ৯৬ রত্তিতে এক ভরি ওজনের ৮ রত্তি ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে রত্নপাথর ব্যবসায়ীরাও অনেক সময় এই রত্তির মারপ্যাঁচে ক্রেতাকে আটকে ফেলেন। আপনি হয়তো কোথায়ও একটি নীলা পাথর দাম করেছেন। তিনি আপনার কাছে ক্যারেট হিসেবে প্রতি ক্যারেট এর মূল্য চাইলেন ২০০০ টাকা করে। ৫ ক্যারেট এর জন্য ১০০০০ টাকা। সেটা যাচাই করতে গেলেন আরেক জনের কাছে, তখন তিনি আপনার কাছে চাইলেন ১৫০০ টাকা প্রতি রত্তি। আপনি তো মনে মনে খুশী হয়ে গেলেন এই ভেবে যে আপনি ৫০০ টাকা করে কম পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যে আপনাকে ৫৮ ক্যারেট এর পরিবর্তে ৯৬ রত্তি ধরে পাথরের মূল্য বলেছেন সেটা আর আপনি বুঝতে পারেন নাই, যেখানে ৫ ক্যারেট সমান ৮.২৫ রত্তি, আর ১৫০০ টাকা করে ৮.২৫ রত্তির মূল্য দাঁড়ালো ১২৩৭৫ টাকা। এর মানে আপনাকে ওজনের মারপ্যাঁচে ফেলে কম মূল্য দেখিয়ে ২৩৭৫ টাকা বেশী নিয়ে নিলো।
এমন অবস্থায় আপনি যখনই কোন জ্যোতিষের কাছ থেকে রাশিরত্ন পাথরের পরামর্শ নেবেন তখন তাকে উল্লেখ করে দিতে বলবেন যে কোন মাপের কতটুকু ব্যবহার করতে হবে। এবং সেই রত্নপাথর কেনার সময় অবশ্যই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে যেনে নেবেন তিনি কোন ধরনের ওজনে রত্নপাথর বিক্রি করছেন। আশা করি এর ফলে আপনি অযথা ঝামেলা এবং অতিরিক্ত অর্থ খচরের হাত থেকে বেঁচে যাবেন।